কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কুতুবদিয়ায় বসত-ভিটার জমি দখলকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ১৬ মে (বুধবার) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বড়ঘোপ ইউনিয়নের দক্ষিণ অমজাখালী গ্রামে (৪নং ওয়ার্ড) এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সোপাইদা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ গুরুতর আহত হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় আহতকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সোপাইদা বেগম স্থানীয় মাহমুদুল করিমের স্ত্রী বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড়ঘোপ ইউনিয়নের দক্ষিণ অমজাখালী গ্রামের মাহমুদুল করিমের স্ত্রী সোপাইদা বেগম (৩০) এর পৈত্রিক ভিটায় জবর দখল করে পাকাঘর নির্মাণ করছিলেন ওই এলাকার মৃত আবুল কাসেমের ছেলে মোঃ আবদুল্লাহ (৪০) এতে বাঁধা দিলে একই এলাকার কালামিয়ার ছেলে বেলাল (৩৫), মৃত ওমর মিয়ার ছেলে কালা মিয়া (৬০), আবদুল্লাহ এবং আরো ৮/১০ জন মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দা, লোহার রড ও লাটি সোটা নিয়ে সোপাইদার উপর আক্রমণ চালায়। এসময় লাটির আঘাতে সোপাইদার মাথা কেটে যায় এবং সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটাতে থাকে দুর্বৃত্তরা। এসময় শোর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সোপাইদাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।

ভুক্তভোগীর স্বামী মাহমুদুল করিম বলেন, তার স্ত্রী সোপাইদা পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত এবং ভোগ দখলীয় বড়ঘোপ মৌজার ৪৯৫ নং খতিয়ানের অধীনে বি.এস দাগের ৮ শতক বসত ভিটির জমি নিয়ে একই এলাকার আবদুল্লাহ গং দের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এবিষয়ে কক্সবাজার অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (এম.আর ৩০৭/২০১৮ ইং) মামলা চলমান রয়েছে। বিজ্ঞ আদালত স্থিত অবস্থায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য গত ২ এপ্রিল থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ওই জমিতে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় প্রভাবশালী আবদুল্লাহ পাকা দালান নির্মাণের কাজ শুরু করায় সোপাইদা তাদের বাঁধা প্রদান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা সোপাইদাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।